Being Freelancer and Hacker

এই জিনিসটা অনেক দেখেছি।
বিভিন্ন পাবলিক গ্রুপে এসে ‘এত টাকা আছে, এটা দিয়ে আমি কোন কোর্স করে অনলাইনে আয়/ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবো?’
আর “ইসলামী পাবলিক গ্রুপে” অন্য জিনিস হয়, এখানে ‘আমি হ্যাকিং শিখে উম্মাহর স্বার্থে কাজ করতে চাই’।

১ম ক্ষেত্রে (কোর্স)- যে জানেই না যে- কোন কোর্স করতে হবে / অনলাইনে কী কী কাজ করা সম্ভব / সে কোন সেক্টরে আগ্রহী / কম্পিউটার ব্যবহারের অতীত অভিজ্ঞতা, রুচি ও মেজাজ হিসেবে কোন কাজ ভালো হবে, সে যদি ঐ ‘অজ্ঞাত’ অবস্থা থেকে উন্নত অবস্থানে না উঠতে পারে, তাহলে তার দ্বারা ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা কিছু হলেও কম।

এছাড়া একটা কাজ শেখার জন্য ২০-৩০ ঘন্টার কোর্স দেখে আয় শুরু করে দেয়ার চিন্তাটাই অযৌক্তিক।
একটা কাজ শুরু থেকে শিখে আয় শুরু করতে ৬-১২ মাস তো লাগতেই পারে, আরো বেশিও লাগতে পারে। তাও অনেক কিছুই নিশ্চিত না।

অনলাইনে আয় অফলাইনে আয়ের চেয়ে কঠিন। অনলাইনে আপনার প্রতিযোগী হয়ত ২০-৫০ জন, অনলাইনে কয়েক হাজার জন পর্যন্ত হতে পারে।

আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে (হ্যাকার) –
এই যে হ্যাকারমশাই, আপনি যদি বিল্ডিং বানাতে না জানেন, ভাঙবেন কিভাবে?
যদি ফাটল ধরাতেও পারেন, এমনকি ভেঙ্গেও ফেলেন, হয়ত নিজের উপরেই এসে পড়বে।
উড়াধুরা হাতুড়ি চালালেই তো হবে না।

আপনি যদি ওয়েবসাইট বানাতে পারেন, তাহলে এটাও জানবেন যে- কোথায় কোথায় দুর্বলতা থাকা সম্ভব। কিন্তু যদি কিছুই না জানেন- শুধু কোনো ভিডিও বা ব্লগ অনুরসণ করেন আর সেখানে ১০ স্টেপ লেখা থাকে- ৫ম বা ৮ম স্টেপে আটকে গেলে বুঝবেনই না যে- কিভাবে কী করতে হবে।

আর ‘উম্মাহর খেদমত’ করতে আপনার হ্যাকিং করা লাগছে কেন? এরচেয়ে ভালো আর কোনো ‘খেদমত’ পাননি বুঝি? নাকি পরিশ্রম-ঘাম-***র খেদমতের চেয়ে এসি রুমে বসে কম্পিউটার চালানোর খেদমতই আপনার ভালো লাগে?

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *