Category: Others

  • Malfuzat

    মালফুজাত শব্দের অর্থ সহজ বাংলায় “টুকরো কথা” করা যেতে পারে।

    জীবন

    ১। একটু ভুল

    নম্বরে কখনো ‘একটু’ ভুল হয় না। মোবাইল নম্বর ভুলে হলে সেটা পূর্ণ ভুল, ‘মাত্র এক ডিজিট’/সামান্য ভুল না।

    ২। ক্ষমা

    ক্ষমা চাওয়ার সাথে ‘যদি/কিন্তু/তবে’ বললে সেটা আর ক্ষমা চাওয়া থাকে না।

    ৩। ইম্যাচিউরিটি

    আমার অভিজ্ঞতায় ইম্যাচিউরিটির কয়েকটি আলামত-

    ভাঙ্গা বিস্কুট খেতে না চাওয়া

    ছোট দুই বাচ্চাকে যদি বিস্কুট দেয়া হয় এবং একজনেরটা ভাঙ্গা থাকে তাহলে খুব সম্ভাবনা আছে যে- যারটা ভাঙ্গা সে কান্নাকাটি/চিল্লাপাল্লা করবে। ছোটকালে আমি, আমার অন্যান্য ভাইরাও করতো। তখন আম্মু বলতেন ‘পেটের ভিতর তো ভাঙ্গা অবস্থাতেই যাবে!’

    এই যে ‘পেটের ভিতর ভাঙ্গা অবস্থায় যাওয়ার’ বুঝ, এটাও এক প্রকার ম্যাচিউরিটি, ম্যাচিউরিটির অংশ।

    তেলাপোকা ভয় পাওয়া

    আমি যখন ছোট ছিলাম তখন তেলাপোকা ভয় পেতাম, রাতে তেলাপোকা দেখলে মশারি টানানো থাকলে মশারিতে ঢুকলাম।

    পরে যখন মাদরাসায় ভর্তি হলাম তখনও ভয় পেতাম, কিন্তু ভয় পেলে যেহেতু দুর্বলতা প্রকাশ পাবে তাই পাশে আসলে চুপচাপ বসে থাকতাম। পরে ভয় কেটে যায়।

    গেমিং ডিভাইস / RGB

    নিচে ‘টেক’ উপশিরোনামে লিখেছি।

    ৪।

    টেক

    ১। বিতর্ক সৃষ্টির জন্য না, মন থেকেই বলছি। গেমিং মাউস-কী-বোর্ড-কেসিং, হেডফোন থেকে শুরু করে ‘গেমিং সেটাপের’ নামে আরজিবি লাইটিং সংক্রান্ত যা যা হয়েছে- মোটেই ভাল লাগেনি। ছোটবেলায় বাচ্চাদের জুতায় লাইট থাকতো, সেই কথাই মনে পড়ে গেছে বারবার।

    ২। ডিসকর্ডের Nitro কেনার প্রতিটি সুবিধা আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। হাতে গোনা কয়েকজনের সাথে শো অফ করা! অথচ লক্ষ/অনেক হাজার মেম্বার ওয়ালা সার্ভারের অ্যাডমিনকে ওসব ছাড়া দেখেছি। একই কথা বিভিন্ন গেমের পোশাক, অস্ত্র ইত্যাদির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। (গেম নিয়ে তো বিস্তারিত পোস্ট লেখা যেতে পারে)।

    ৩।

    ইসলামী

    ১। আদর্শ জায়নামায

    নরমাল জায়নামাযে লেখা থাকে ৭০x১১০ সেমি / ২৭.৫x৪৩.৩০ ইঞ্চি।

    মসজিদে পাশের মুসুল্লি এই রকম সাইজের জায়নামায নিয়ে গিয়ে বিছালে ২-৩টি অসুবিধা।

    ১। আমি জানি না যে- পাশের জন আবার খুঁতখুঁতে স্বভাবের / অতিরিক্ত রুচিওয়ালা কিনা- আমি উঠে দাঁড়ালে লাট-সাহেব ‘মাইন্ড’ করবেন কিনা। একইভাবে পাশেরজন জানে না যে- আমি কি তার উঠে দাঁড়ানোতে সন্তুষ্ট কিনা। কেউ হয়ত ইতস্তত করে/কেউ হয়ত ২য় কারণটির কারণে দাঁড়ায় না।

    ২। এক পা জায়নামাযে আরেক পা টাইলসে দিয়ে নামায আদায় করতে ভালো লাগে না। হয়ত উভয় পা টাইলসে থাকবে, নয়ত উভয় পা জায়নামাযে। উঁচা vs নিচা এবং গরম vs ঠাণ্ডা।

    (কোনো কারণে এক হাত বা এক পা ধুতে হলে (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে) আমি অপর হাত/পা-ও ধুই, নইলে অসমান/অসামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হয়।)

    এসব ঝামেলা থেকে বাঁচতে আমি ছোট সাইজের জায়নামায আনিয়েছি, ১৯.৫x৩৮

    (সাড়ে উনিশ ঠিক আছে, কিন্তু দৈর্ঘ্যে ৪২/৪১, কমপক্ষে ৪০ হলে ভাল হত, এখন ছোট হয়। আর প্রস্থ ১৯ বা ১৮ হলেও চলতো।)

    ২। ওয়াসওয়াসা

    ওয়াসওয়াসাকে ইগ্নোর করা। হাদীসে পেশাবের পর লুঙ্গিতে পানি দেয়ার কথা আছে। মুফতি তারিক মাসুদ হাফি. বলেন- আপনি যদি কসম খেয়ে বলতে না পারেন যে- আমার ওজু ভেঙ্গেছে, তাহলে ওজু আছে।

    ৩। ক্রিকেট

    ক্রিকেট দেখা-সমর্থন করার পক্ষে যেসব কথা বলা হয়, সেগুলো খুবই নিম্নমানের। এতটাই বাজে যে- ওগুলো খণ্ডানোও অত ভাল কাজ মনে হয় না।

    ৪।

  • Being Freelancer and Hacker

    এই জিনিসটা অনেক দেখেছি।
    বিভিন্ন পাবলিক গ্রুপে এসে ‘এত টাকা আছে, এটা দিয়ে আমি কোন কোর্স করে অনলাইনে আয়/ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবো?’
    আর “ইসলামী পাবলিক গ্রুপে” অন্য জিনিস হয়, এখানে ‘আমি হ্যাকিং শিখে উম্মাহর স্বার্থে কাজ করতে চাই’।

    ১ম ক্ষেত্রে (কোর্স)- যে জানেই না যে- কোন কোর্স করতে হবে / অনলাইনে কী কী কাজ করা সম্ভব / সে কোন সেক্টরে আগ্রহী / কম্পিউটার ব্যবহারের অতীত অভিজ্ঞতা, রুচি ও মেজাজ হিসেবে কোন কাজ ভালো হবে, সে যদি ঐ ‘অজ্ঞাত’ অবস্থা থেকে উন্নত অবস্থানে না উঠতে পারে, তাহলে তার দ্বারা ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা কিছু হলেও কম।

    এছাড়া একটা কাজ শেখার জন্য ২০-৩০ ঘন্টার কোর্স দেখে আয় শুরু করে দেয়ার চিন্তাটাই অযৌক্তিক।
    একটা কাজ শুরু থেকে শিখে আয় শুরু করতে ৬-১২ মাস তো লাগতেই পারে, আরো বেশিও লাগতে পারে। তাও অনেক কিছুই নিশ্চিত না।

    অনলাইনে আয় অফলাইনে আয়ের চেয়ে কঠিন। অনলাইনে আপনার প্রতিযোগী হয়ত ২০-৫০ জন, অনলাইনে কয়েক হাজার জন পর্যন্ত হতে পারে।

    আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে (হ্যাকার) –
    এই যে হ্যাকারমশাই, আপনি যদি বিল্ডিং বানাতে না জানেন, ভাঙবেন কিভাবে?
    যদি ফাটল ধরাতেও পারেন, এমনকি ভেঙ্গেও ফেলেন, হয়ত নিজের উপরেই এসে পড়বে।
    উড়াধুরা হাতুড়ি চালালেই তো হবে না।

    আপনি যদি ওয়েবসাইট বানাতে পারেন, তাহলে এটাও জানবেন যে- কোথায় কোথায় দুর্বলতা থাকা সম্ভব। কিন্তু যদি কিছুই না জানেন- শুধু কোনো ভিডিও বা ব্লগ অনুরসণ করেন আর সেখানে ১০ স্টেপ লেখা থাকে- ৫ম বা ৮ম স্টেপে আটকে গেলে বুঝবেনই না যে- কিভাবে কী করতে হবে।

    আর ‘উম্মাহর খেদমত’ করতে আপনার হ্যাকিং করা লাগছে কেন? এরচেয়ে ভালো আর কোনো ‘খেদমত’ পাননি বুঝি? নাকি পরিশ্রম-ঘাম-***র খেদমতের চেয়ে এসি রুমে বসে কম্পিউটার চালানোর খেদমতই আপনার ভালো লাগে?