Blog

  • Netiquette / Internet Etiquette

    ১। ইনবক্সে কিছু বলার থাকলে সরাসরি বলে ফেলা। সালাম/হাই-হ্যালোর রিপ্লাইয়ের অপেক্ষা না করা।

    যেমন, আসসালামু আলাইকুম, আপনার থেকে অমুক বিষয় জানতে চাই / আমি আপনার সাথে বা আপনার জন্য কাজ করতে চাই / দেখা করতে বা মিটিং করতে চাই।

    নইলে একবার সালাম, অনেক পরে জবাব। তার অনেক পরে আবার সালাম (যেহেতু অনেকের ধারণা আগের সালাম বাসি হয়ে যায়!) এভাবেই বেশ কয়েকবার চলবে, মূল কথা বলা হয়ে নাও উঠতে পারে।

    ফেক আইডি ব্যবহার করে থাকলে / যাকে ম্যাসেজ দিচ্ছেন সে আপনার “অনলাইন নামের” সাথে পরিচিত না থাকলে পরিচয়ও বলে দেয়া। নইলে পরিচয় জিজ্ঞেস করেও সময় নষ্ট হবে। আর ‘for god’s sake’ পরিচয় জিজ্ঞেস করলে ‘ভুলেই গেছেন/আমাদের কি আর মনে রাখবেন?’ না বলা।

    নিচের ৩টি সাইট খুবই প্রাসঙ্গিক। আমি মাঝে মাঝে কোনো গ্রুপ-পোস্টের কমেন্ট সেকশনে প্রথমটি দিয়ে দেই। ২য়টি হয়ত দেই না, কিন্তু উপরে তো লিখলামই। এখন হয়ত এই ব্লগ পোস্ট ধরিয়ে দিতে হবে।

    https://dontasktoask.com

    https://nohello.net/en

    https://xyproblem.info

    ২। অপ্রাসঙ্গিক কমেন্ট না করা।

    আচ্ছা, ভিডিওর কমেন্টে কালেমা, কুরআন-হাদীসের বাণী, মাকে নিয়ে লেখা বাণী পোস্ট করে কী লাভ হয়?

    এটা কি জাস্ট কিছু লাইক পাওয়ার ধান্ধা? নাকি ফলোয়ার পাওয়ার? মনে তো হয় না ওসব দেখে কেউ ফলো করে!

    ৩। ইগনোর + হাইড + রিপোর্ট করতে শেখা

    নইলে খারাপ কিছু তৈরিতে, প্রচারে আপনার অবদান থেকে যাবে।

    (যেমন, ইসলামবিদ্বেষী কোনো লেখকের পোস্টে/কার্টুনে গালি দিয়ে কমেন্ট)। সেক্ষেত্রে তো রিচ/অ্যালগরিদম ইত্যাদির জন্য আরো সহায়ক হবে।

    আর পরিবার তুলে গালি দিলে ইসলাম কায়েম হবে না / বা হুমকি দিয়ে। তার পরিবারও হয়ত তাকে নিয়ে বিব্রত। আবার পরিবারের সদস্য আপনার গালি দেখেও বিব্রত! (কারণ গালিটি হয়ত তাকে নিয়েই!)।

    ৪। মিথ্যা কমেন্ট না করা।

    যেমন, একাধিক বিবাহের আলোচনা চলছে, কেউ ফেক আইডি খুলে কমেন্ট করলো ‘আমি আমার স্বামীকে ২য় বিয়ে করিয়ে দিয়েছি/স্বামীর ২য় বিয়ে করতে আপত্তি নেই।’ যদি বাস্তবে কোনো নারী- যিনি এরকম করেছেন- তিনি তো করতেই পারেন।

    কিন্তু দাওয়াহ/হিকমাহ ভেবে মিথ্যা কমেন্ট না করা।

    এমনিভাবে “আমি নওমুসলিম, এভাবে এভাবে সকল বাঁধা অতিক্রম করেছি…” লিখে মিথ্যা গল্প না বলা।

    এগুলো তো আমার লেখা / নিজস্ব উপলব্ধি, এমনিতে অনলাইনে তো অনেক পাওয়া যায়- যেমন

    https://www.kaspersky.com/resource-center/preemptive-safety/what-is-netiquette

  • Dual Currency Card

    সতর্কতাঃ এগুলো আমার অভিজ্ঞতা, পাবলিক গ্রুপের রিভিউ থেকে পাওয়া অন্যের অভিজ্ঞতা। চরম সত্য / অপরিবর্তনযোগ্য কিছু না। যে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আগে নিজে খোঁজ-খবর নিন, যাচাই বাছাই করুন।

    বাংলাদেশ থেকে বিদেশী ওয়েবসাইটে পেমেন্টের জন্য সলিউশন আমার জানামতে নিম্নরুপ

    ১। প্রিপেইড কার্ড

    বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত।

    ইসলামী ব্যাংক ২০২১-২০২২ সালে সম্ভবত বেশ কয়েক হাজার গ্রাহককে ফ্রিতেই প্রিপেইড কার্ড দিয়েছিলো, যা পরে আর কন্টিনিউ করেনি। আমিও একটা নিয়েছিলাম। তবে মার্ক-আপ চার্জ ছিলো সম্ভবত ২%।

    মার্ক আপ চার্জ – ডায়নামিক কারেন্সি কার্ড হচ্ছে- কার্ডে টাকা/BDT থাকবে। টাকা থেকে যখন যে কারেন্সিতে পেমেন্ট করা হবে, সেই বিদেশী কারেন্সীতে কনভার্ট হয়ে যাবে, কিন্তু এক্সট্রা ২% চার্জ কাটবে প্রতিবার। UCB / Upay প্রিপেইড কার্ডেও প্রায় একই নিয়ম।

    এর বিপরীতে হয় ডুয়েল পার্ট কার্ড, যেখানে দু’টি পার্ট থাকে। BDT & USD – প্রতি পার্টে তার উপযুক্ত মুদ্রা থাকে।

    মিডল্যান্ড ব্যাংকও সম্ভবত ফ্রিতে/এককালীন ৫৭৫ টাকায় প্রিপেইড কার্ড দিতো। কিন্তু ওদের অ্যাপ+অনলাইন সিস্টেমের বেশ কিছু সমালোচনা/অভিযোগ দেখেছিলাম, আরো কী কী যেন দেখেছিলাম, তাই আগ্রহী হইনি।

    অবশ্য কিছু কিছু ব্যাংক প্রিপেইড কার্ডকে কাস্টমার ধরার ফন্দি হিসেবে বানিয়ে নিয়েছে।

    যেমন, “হলুদ-মিডিয়া”র মত একটা হলুদ-ব্যাংক আছে, তারা আগে ৫৭৫ টাকায় ৩ বছরের জন্য কার্ড দিতো, ৩ বছরের জন্য এন্ডোর্স করে দিতো। পরে তারা প্রতি বছর ৫৭৫ নেয়া শুরু করলো। আরো পরে sms alert fee প্রায় ৩০০ টাকা ধার্য করলো। তারপর ৫৭৫ কে দ্বিগুণ করে দিলো। এবং সর্বোচ্চ ৬ মাসের জন্য এন্ডোর্স করে দিতে লাগলো।

    ১০০০+ টাকা প্রতি বছর দিয়ে কোনো প্রিপেইড কার্ড প্রতি ৬ মাসে একবার করে এন্ডোর্স করে চালানোর কোনো মানেই হয় না।

    অসুবিধাঃ

    ১। প্রিপেইড কার্ডের অসুবিধা হচ্ছে- খুবই সীমিত আকারে অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে এই কার্ড গ্রহণ করা হয় না। এমন আমি AliCloud & Azure এর ক্ষেত্রে এই কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করতে / সাবস্ক্রিপশন নিতে পারিনি, অথচ AWS এ ঠিকই পেরেছিলাম! (এছাড়া গুগল প্লে স্টোরেও ঠিক ছিলো)।

    ২। ডুয়েল পার্ট কার্ডের ক্ষেত্রে বারবার কনভার্ট করার ঝামেলা। অনেক্ষেত্রে কনভার্ট করার আবেদনের পর ৬-১২ ঘন্টা লেগে যাওয়া। আর ডায়নামিক কারেন্সি কার্ডের ক্ষেত্রে অনেকক্ষেত্রেই ২% চার্জ দিয়ে বছরে ১৫-৩০ ডলার চার্জ দেয়া হয়ে যেতে পারে, এরচেয়ে তো ফিক্সড হাজার টাকা দেয়াই ভালো।

    ২। ডেবিট কার্ড

    অনেক ব্যাংক / প্রায় প্রতিটা ব্যাংক থেকেই নেয়া যায়। ইউসিবির কিছু কার্ড ছিলো যেগুলোতে ডুয়েল কারেন্সি ছিলো না, সেগুলোকেও ঘোষণা দিয়ে ডুয়েল কারেন্সি করে দেয়া হয়।

    ৩। ক্রেডিট কার্ড

    আমি অনেক লেখায় এবং ভিডিওতে ক্রেডিট কার্ড কেন ব্যবহার করা উচিত না, তা দেখেছি। এবং কারণগুলো আমার যৌক্তিক ও বিবেচনাযোগ্যই মনে হয়েছে। এছাড়াও ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেও তো…

    যাই হোক, ক্রেডিট কার্ডকেই তো ব্যাংক সেক্টর ‘যৌক্তিক’ কারণেই সবচেয়ে প্রায়োরিটি দেয়। কোনো কোনো ব্যাংক হয়ত ডেবিট কার্ডে ডলার/পাসপোর্ট এন্ডোর্সমেন্টের সময় ৩টা প্রশ্ন করলে ক্রেডিট কার্ডে হয়ত ১টা করে, বা করেই না।

    ৪। বিদেশি কার্ড

    WISE কার্ডের জন্য UK তে বিজনেস থাকতে হয়। Payoneer এর ক্ষেত্রে সম্ভবত প্রায় ৩০ ডলার বার্ষিক চার্জসহ আরো কী কী যেন।

  • Bank Account

    আমি একটা সময় ব্যাংক নিয়ে প্রচুর ঘাটাঘাটি করেছি। মোটাদাগে আমার গবেষণা-

    ১ লক্ষ লিমিট অ্যাকাউন্ট

    অনেকগুলো ব্যাংকেই ১ লক্ষ টাকা রাখা যাবে, তার বেশি রাখতে চাইলে ইনকাম সোর্স জমা দিতে হবে- এমন অ্যাকাউন্ট আছে। জীবনের প্রথম অ্যাকাউন্ট হিসেবে এটা ভাল।

    আমি IFIC Shohoz সহজ অ্যাকাউন্ট চালিয়েছি। অনলাইনে নিজে e-KYC (নিজের ফরম নিজেই পূরণ, NID এর ছবি জমা দেয়া)। তবে তারপর ব্যাংকে গিয়ে রেফারেন্স নম্বর বললে অনেকগুলো কাগজ প্রিন্ট করে সেগুলোতে সাইন করতে বলে। সেমি-ডিজিটাল জিনিসটা ভালো না। এতদিনে পরিবর্তন এসে থাকতে পারে।

    অ্যাপ সুন্দর ছিলো না, বেশ বাজে ছিলো। তবে ফ্রিতে NPSB ছিলো। ২০২২-২৩ এ। এখনো আছে কিনা জানি না।

    তারপর UCB Prothom অ্যাকাউন্ট খুলেছি। অনলাইনে খুলেছি, কার্ড আমার সিলেক্ট করা ব্রাঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছে। বাসায় চাইলেও দিতো। (এই অ্যাকাউণ্টে ২য় বছর থেকে এক্সট্রা চার্জ আছে, যেই চার্জের কথা আমি নিচে সাধারণ পূর্ণাঙ্গ অ্যাকাউন্ট-এ লিখেছি)।

    NRBC ব্যাংকসহ আরো অনেক ব্যাংকের এরকম অ্যাকাউন্ট আছে।

    এসব অ্যাকাউণ্টে শুধু কার্ডের বাৎসরিক ফি এবং SMS বাবদ চার্জ থাকে। ৪০০-৪৫০ টাকায় এক বছর (বা প্রথম বছর) চলে যায়।

    এই অ্যাকাউন্টে কোনো ব্যাংক টাকা তোলার জন্য চেক দেয়, কোনো ব্যাংক দেয় না (অ্যাকাউণ্টের টাকা চেক দিয়ে তোলাই যাবে না), আবার কোনো ব্যাংক ফ্রিতে দেয় না। (অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিয়ে চেক দেবে, পাতা প্রতি ৩-১০ টাকার মত হতে পারে। ১০ পাতার চেক ৩০ থেকে ১০০ টাকা)।

    সাধারণ পূর্ণাঙ্গ অ্যাকাউন্ট

    এসব অ্যাকাউণ্টে ইনকাম সোর্স দিতে হয়। এবং প্রতি ৬ মাসে টাকা রাখার কারণে ফি কাটে। এগুলোতে বছরে ৩-৪ কারণে ১২০০-১৮০০ টাকা পর্যন্ত চার্জ কাটে।

    ১। কার্ড ফি – ৫০০ থেকে ১০০০

    ২। SMS ফি – ব্যাংকভেদে ৫০-১০০ বছরে একবার বা দুইবার।

    ৩। টাকা রাখার ‘অপরাধে’ ফি-

    ১০ হাজার পর্যন্ত গড় ব্যালান্স হলে ০ টাকা। ২৫ হাজারের কমে ১০০ টাকা এবং ২৫ হাজার থেকে দুইলক্ষ পর্যন্ত ২০০ টাকা। ২ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ – ৩০০ টাকা। (ব্যাংকের সব চার্জের সাথে থাকে ১৫% ভ্যাট)

    এরবেশি আরো কয়েকটা স্তর আছে, যা প্রত্যকের ব্যাংকের schedule of charges ডাউনলোড করে দেখে নেয়া যাবে।

    এভাবে বছরে দুইবার। তো বেশির মধ্যবিত্তের ক্ষেত্রে ২৪৫ টাকা (১৫% ভ্যাট সহ) দিতে হয়, তাও বছরে দুইবার। (যেহেতু ২৫ হাজার-২ লক্ষ রেঞ্জেই তাদের ব্যাংকে টাকা থাকে)

    এগুলো সেভিংস অ্যাকাউন্টে। কারেন্ট অ্যাকাউন্টে-যা মূলত ব্যবসায়ীদের জন্য- আরো বেশি চার্জ হতে পারে / হয়ে থাকে। কারেন্ট অ্যাকাউন্টে একবারে বেশি টাকা তুলে ফেলা যায়।

    যেহেতু কারেন্ট অ্যাকাউন্টের টাকা ঘনঘন তুলে ফেলা হয় / স্থির থাকে না- বারবার আসে-যায়, তাই এগুলোতে সাধারণত ‘সুদ’ ‘ইন্টারেস্ট’ ‘মুনাফা’ দেয়া হয় না।

    সুদ সাধারণত জুনের শেষে এবং ডিসেম্বরের শেষে দেয়া হয়।

    সতর্কতাঃ কেউ যদি জানুয়ারীর ১ তারিখে অ্যাকাউন্ট খুলে ১ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখে এবং ডিসেম্বর মাসে ১,০৪,২৫০ টাকা পায়, সে যদি ‘সুদ’ থেকে বাঁচতে ৪২৫০ টাকা দান করে দেয়, তা হলে কিন্তু সে মুক্তি পেলো না।

    কারণ – সে আরো বেশী পেয়েছিলো (হয়ত ১,০৫,৮৫০ হতো)।

    বিভিন্ন চার্জ যা ব্যাংক কেটে থাকে- সেগুলো সুদের টাকা থেকে দেয়া যাবে না। দিলে তো ‘সুদ খাওয়া/ভোগ করা’ হয়ে গেলো।

    তাই স্টেটমেন্ট বের করে ব্যাংক কত কেটেছে তা হিসাব করুক বা না করুক- কত সুদ দিয়েছে তা হিসাব করতে হবে। সুদের ১০-১৫% আবার সরকার ভ্যাট হিসেবে কেটে নেয়, সেটা সুদের হিসাব থেকে বাদ যাবে।

    ৪। আবগারি শুল্ক

    বছরে একবার আবগারি শুল্ক কাটে। প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কোনো ব্যাংক হিসাবে আমানতের পরিমাণ যদি একবার এক লাখ টাকা বা তার ওপরের স্তরগুলোর সীমা স্পর্শ করে, তাহলে নির্দিষ্ট হারে আবগারি শুল্ক দিতে হয়। একাধিকবার স্পর্শ করলেও একবারই আবগারি শুল্ক কাটা হয়। কোনো হিসাবে এক লাখ টাকার কম থাকলে কোনো আবগারি শুল্ক কাটা হয় না।

    বর্তমানে এক লাখ পর্যন্ত ব্যাংক হিসাবের স্থিতিতে কোনো আবগারি শুল্ক দিতে হয় না। আবার এক লাখ থাকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫০ টাকা এবং পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়।

    উদাহরণ – একজন ৫০ হাজার টাকা সারা বছর অ্যাকাউন্টে রেখেছে, তার বাৎসরিক খরচ-

    ৫০০ কার্ড, ১০০ এসএমএস, ২৫ হাজারের বেশি গড় ব্যালান্স হওয়ার কারণে ২০০ করে দুইবার, মোট ১০০০ + ১৫% ভ্যাট, ১১৫০ টাকা ‘মাত্র’। (১ লক্ষের বেশি না হওয়ার কারণে ১৫০ টাকা আবগারি শুল্ক লাগেনি।

    কার্ডের চার্জ ১০০০ হলে বা বছরে একবারে/দুইবারে এসএমএস ফি মোট ১০০ না হয়ে আরো বেশি হলে মোটের পরিমাণ আরো বাড়তো।

    স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট

    স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্টগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফি, কোনো সার্ভিস ফি নেই। তবে ব্যাংকভেদে কিছু লিমিট থাকতে পারে।

    এছাড়াও ১৮ এর কম বয়সীদের অতিরিক্ত লিমিটেশন থাকতে পারে- যেমন- এত টাকার বেশি রাখা যাবে না, দিনে এত টাকার বেশি তোলা যাবে না / অভিভাবকের সাইন ছাড়া এত টাকার বেশি তোলা যাবে না।

    ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট চালাইনি, তবে শুনেছি বয়স ২৮ পর্যন্ত এটা ব্যবহার করা যায়। বেশ উদার!

    এছাড়া ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের সাথে সম্ভবত ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দেয়, তবে বয়স লিমিট ২৫

    ফ্রিতে টাকা রাখা

    সেলফিন হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকের অ্যাপ। সেখানে সাইন আপ করলে একটি অ্যাকাউণ্ট দিয়ে দেয়, কার্ডও দেয় (ভার্চুয়াল কার্ড তথা নম্বর, ছবি- বাস্তব কার্ড পাঠায় না)। সেই কার্ড দিয়েই অনলাইনে পেমেন্ট করা যায়। ব্যাংকে গিয়ে সেই কার্ড এন্ডোর্সও করা যায়।

    টাকা তোলা যায় ইসলামী ব্যাংকের বুথ থেকে।

    NPSB + EFT, Statement, রেমিটেন্স- সবই আছে। এবং উপরের কোনো ধরণের কোনো চার্জ ছিলো না। (এখন আছে কিনা- জানি না।)

    অনলাইনে ডলার পেমেন্ট / পাসপোর্টে ডলার এন্ডোর্সমেন্ট এবং ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের জন্য কোন ব্যাংক ভালো- সে সম্পর্কিত আরেকটি পোস্ট পরে লেখার ইচ্ছা আছে।

  • Coding Channels

    updated: 03-Dec-2024

    কিছু ইউটিউব চ্যানেল এমন আছে- যারা হয়ত ছোট, কিন্তু কন্টেন্ট কোয়ালিটি অনেক ভাল। যেমন

    https://www.youtube.com/@cdbrw

    https://www.youtube.com/@awesome-coding

    https://www.youtube.com/@CooperCodes

    https://www.youtube.com/@JoyofCodeDev

    https://www.youtube.com/@dreamsofcode

    https://youtube.com/@bekbrace

    https://www.youtube.com/@tom-delalande

    https://www.youtube.com/@BeABetterDev

    বড়, কিন্তু আরো বড় হতে পারতো।

    https://www.youtube.com/@ByteByteGo (এখন বড় হয়ে গেছে, কিন্তু ইংরেজি উচ্চারণ ভাল হলে আরো অনেক বড় হতো বলে আমার ধারণা। অ্যানিমেশন/এডিট তো সেরা।)

    https://www.youtube.com/@KG_Coding

    অনিয়মিত/নতুন ভিডিও দেবেই না হয়ত, কিন্তু টপ নচ

    https://www.youtube.com/@uidotdev

    এছাড়াও

    https://youtube.com/@thecodingsloth

    https://youtube.com/@honeypotio

    https://youtube.com/@brocodez

  • Wireguard instruction / Algo VPN update

    AWS – Algo ভিপিএন এর আপডেট

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আমি ৫-৭ দিন দুটি গ্রুপে নিজের হোস্ট করা ভিপিএন শেয়ার করেছিলাম। আনুমানিক ৫০+- জন সেটা ব্যবহার করেছিলো। এছাড়াও ৩টি ভিপিএন ট্রায়াল নিয়ে শেয়ার করেছিলাম, openvpn হোস্ট করে কয়েকজনকে দিয়েছিলাম।

    Algo এর আপডেট-

    Singapore এ ৬০ জিবি
    Seoul এ ৪.৬ জিবি
    এবং মুম্বাইতে 58.73GB ইন 34.12 GB ফ্রিতে আউট এবং
    $0.1093 রেটে মুম্বাই এর বাকি 25.39 GB, মোট USD 2.78
    আরো কয়েকটা রিজিওনে কিছু কিছু মিলিয়ে ১৩০ জিবি প্রায়।

    এছাড়াও হালকা পাতলা বিভিন্ন সার্ভিস মিলিয়ে মোট বিল USD 3.37

    এই সময়টাতে খুবই হালকা, খুবই খুবই সামান্য কিছু করতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত এবং কৃতজ্ঞ। 

    নির্দেশনা

    ইন্সটল + কনফিগ

    মোবাইলে Wireguard ইন্সটল করে ওপেন করে নিচের ডানদিকে + চিহ্নে টাচ করলে গ্যালারি/ফাইল ম্যানেজারে নিয়ে যাবে। সেখান থেকে .conf ফাইলটি খুঁজে বের করে টাচ দিন (Import করুন)

    সহজে খুঁজে পেতে বামদিকের উপরে ৩ দাগ / মেনুতে টাচ করে Downloads এ যান। এবং আরো সহজে খুঁজে পেতে Downloads এ যাওয়ার পর উপরের ডানদিকে থাকা মেনুতে টাচ করে Sort by Modified (newest first) সিলেক্ট করুন।

    পিসিতে নিচের ডানদিকে থাকা add tunnel এ ক্লিক করতে হবে।

    ফাইল ইমপোর্ট হয় না

    ফাইলের নামে কোনো বড় হাতের অক্ষর, হাইফেন, স্পেস বা স্পেশাল ক্যারেক্টার & * $ # @ + ইত্যাদি থাকা যাবে না। শুধু ছোট হাতের অক্ষর ও নম্বর থাকতে পারবে।

    যেমন- mumbai, mumbai1 ঠিক আছে, কিন্তু Mumbai1 / mumbai-1 / mumbai#1 / mumbai 1.conf ঠিক নেই।

    একই ফাইল একাধিকবার ডাউনলোড করলে প্রথমবার mumbai.conf থাকলেও দ্বিতীয়বার একই ফাইল mumbai (1).conf নামে ডাউনলোড হবে, যা ইমপোর্ট করা যাবে না।

    ইমপোর্ট হওয়ার পর কানেক্ট হয় না

    সেক্ষেত্রে আমাকে ম্যাসেজ দিলে আরেকটি কনফিগ দেব। সেটাও যদি না চলে, তাহলে আমি দুঃখিত। তবুও এই সমস্যাটি আপনার ডিভাইসের সাথে সম্পৃক্ত কিনা তা বুঝতে আরেক ডিভাইসে চেষ্টা করতে পারেন। যদি সেটাতে হয় তাহলে তো বুঝতে হবে যে- সমস্যা ডিভাইসে।

    কানেক্ট হওয়ার পর চলে না

    সেক্ষেত্রে আমাকে ম্যাসেজ দিলে আরেকটি কনফিগ দেব। সেটাতে চললে তো ভালই। আমি আগেও দেখেছি যে- একই সার্ভারের ৬টি ইউজার-config এর ১ বা ২টি দিয়ে চলছে না, বাকিগুলোতে চলছে।

  • Self Hosted

    Self Hosted জিনিস আমার বেশ ভাল আগে। পুরোপুরি নিজের না- কোড নিজের না, আবার পুরোপুরি অন্যেরও না- অন্যের নজরদারিতে থাকা লাগে না।

    আমি ১+ সপ্তাহ আগে ওয়েবসাইট হেলথ মনিটরিং টুল uptime kuma সেলফ হোস্ট করেছিলাম, এটার সমস্যা হচ্ছে- ২০ সেকেন্ডের কমে ইন্টারভাল সেট করা যায় না। অথচ আমার হিসেবে প্রতি সেকেন্ডেও যাওয়া উচিত! অন্তত প্রতি ৩ – ৫ সেকেন্ডে তো অবশ্যই।

    তারপর গতকাল ২৫ জুলাই প্রক্সি/সকেট squid & dante এবং ভিপিএন algo হোস্ট করলাম, অনেকজনের সাথে শেয়ারও করেছি।

    আর আজ ২৬ জুলাই Next Cloud হোস্ট করেছি এবং ভাইদের সাথে শেয়ার করেছি।

    আপডেটঃ ১ আগস্ট autolycus (seedr alternative) হোস্ট করেছি।

    আপডেট ২ঃ HestiaCP & Coolify – অক্টোবরের ১ম সপ্তাহ।

  • Deno and Deno Deploy™

    Deno and Deno Deploy™

    আমি আজ সহ লাগাতার ৩ দিন ডিনো এবং ডিনো ডিপ্লয় নিয়ে গবেষণা করছি। বেশ মজাই লাগছে। ডিনো প্রথমবার ব্যবহার করেছিলাম মাসখানেক আগে, জুনের শুরুতে সম্ভবত।

    ডিনো ডিপ্লয় এ KV & CRON আছে, যদিও এখন তা বেটা পর্যায়ে। আমি KV কেভি প্রথম দেখেছিলাম ক্লাউডফ্লেয়ারে। সেখানে KV+R2+PAGES এর সমন্বয়ে বেশ জটিল জিনিস বেশ সহজেই বানিয়ে ফেলা যায়।

    ১ম দিন- ১৪ জুলাই বেশি সুস্থ ছিলাম না। কিন্তু ১৫ তারিখে কাজ বেশ এগিয়ে গিয়েছিলো (একইদিনে svelte এর প্রজেক্টও github action দিয়ে deno deploy তে ডিপ্লয় করে বেশ ভাল পার্ফরম্যান্স পেয়ছিলাম, সেইসাথে CI/CD এর বাস্তব অভিজ্ঞতাও বৃদ্ধি পেয়েছিল), এবং আজ ১৬ তারিখ।

    ক্লাউডফ্লেয়ারে একদিন KV দেখার পর মনে হলো- আরো কোথাও KV দেখেছিলাম। কোথায়?

    খুব দ্রুতই মনে এসেছে, Deno Deploy™ তে!

    তারপর শুরু করলাম গবেষণা। গবেষণার বিষয়-

    ১। সেখানে ডিসকর্ড বট ২৪/৭ চালু রাখা যায় কিনা

    ২। যদি না যায়, তাহলে কোনো বিশেষ উপায়ে/হ্যাক ব্যবহার করে হলেও করা যাবে কিনা।

    আমার এখন পর্যন্ত উপলব্ধি হচ্ছে-

    ১। ডিনো ডিপ্লয় ব্যবহার করে একবার প্রজেক্ট/কোড পাব্লিশ/ডিপ্লয় করলে সেটা একবার চালু হলেও সামান্য পরিবর্তন করে আবার ডিপ্লয় করলে দুইবার কোড রান হয়। Deno.cron প্রতিমিনিটে দিয়ে দেখেছি- সেটা দুইবার করে হয় না, তবে node-cron ব্যবহার করলে সেটা একাধিকবার একই কাজ করতে থাকে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ৬ মিনিট পর দুইবার না করে একবার করে। (৩ বার ডিপ্লয় করলে হয়ত একবার কমবে, আরো পরে ২য়টাও কমবে)

    তবে একবার ১ এ নেমে আসলে আবার ডুপ্লিকেট হবে না, এমন না। আবার হবে, যে কোনো সময়। এবং তা অটোমেটিক বন্ধও হবে।

    ২। new Map() এর ভিতরে ইউজারের ডিসকর্ড ভয়েস চ্যানেলে জয়েন টাইম সেভ রাখতাম, কিন্তু ডিনো ক্রোন মাঝে মাঝে প্রতি মিনিটের কাজ মিস করে, খুব সম্ভবত তখনই ডাটা হারিয়ে যায়। তাই KV ব্যবহার করি, ডাটা হারানো বন্ধ হয়।

  • Newsletter, Survey and Podcast

    আমি যেসব নিউজলেটার নিয়মিত পড়ি, এবং সার্ভেতে অংশগ্রহণ করি এবং পডকাস্ট শুনি (বা দেখি)

    নিউজলেটার

    ১। bytes.dev – প্রতি সপ্তাহে দুইবার আসে। বেশ ভাল লাগে। ১৫টি লিংক থাকলে প্রায় ৫টাতে ক্লিক করি। কখনোই মিস করি না। ব্যস্ততায় একাধিক জমে গেলেও সবগুলোই পড়ার চেষ্টা করি।

    তাদের থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে আমি থিম বানাই, যা ওয়েবসাইটের প্রজেক্টস সেকশনে পাবেন।

    ২। The Overflow (Stackoverflow) – ১৫টা লিংকের ২-৩টাতে হয়ত ক্লিক করি।

    ৩। cooperpress এর Javascript Weekly, React Status, Node Weekly সাবস্ক্রাইব করা আছে, হালকা করে নজর বুলাই।

    সার্ভে

    Overflow Developer Survey 2023 এবং State of JS 2023 এর সার্ভেতে অংশগ্রহণ করেছিলাম।

    পডকাস্ট

    https://syntax.fm এর সাথে বেশিদিন যাবত পরিচিত না। কয়েকটা শুনেছি, ভালই।

    আর Theo – t3․gg এর দীর্ঘ ভিডিও না দেখলেও মাঝে মাঝে ওপেন করে কেটে কেটে দেখি।

  • Bytes Newsletter Theme

    Bytes Newsletter Theme

    bytes (.dev) নিউজলেটারটি আমি কয়েক মাস যাবত পড়ছি। ঐ নিউজলেটারের শেষের দিকে কিছু কোড সম্পর্কিত কুইজ থাকে, উত্তর আরো নিচে দেয়া থাকে। সেই কোডের রঙ ভাল লেগেছিল।

    ইমেইল করে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনাদের কোনো থিম আছে কিনা?

    উত্তর দিয়েছে- It’s a custom theme.

    থিম বানিয়ে পাবলিশ করতে বললে রিপ্লাই দিয়েছে- Eventually. Not a ton of time right now but we plan on doing it in the future.

    আমি আজ ৫-৭ ঘন্টা খরচ করে শিখলাম ও বানালাম। আমি জানি, প্রচুর অসম্পূর্ণতা আছে, এখন শুধু html-css-js-jsx সাপোর্ট করে। কিন্তু যাই হোক, প্রথম একটা কাজ করতে পেরে ভাল লাগলো।

    শুধুমাত্র html-css-js-jsx কোডের জন্য ইচ্ছা হলে এমনেই একটু দেখতে পারেন https://marketplace.visualstudio.com/items?itemName=ZubairIbnZamir.bytes-newsletter-theme

    আমি রেকমেন্ড করবো Colorized+ ভার্সনটা ব্যবহার করতে। কারণ মূল থিম ছাই রঙ অনেক বেশি। Colorized+ থিমে আমি ছাই কমিয়ে দিয়েছি।

    আর bytes.dev নিউজলেটারটা পড়তে পারেন, আশা করি বেশ উপকৃত হবেন।

  • Learning Svelte

    Learning Svelte

    আমি গত ১৩ জুন সুভেল্ট/সভেল্ট/এসভেল্ট শেখা শুরু করেছি। তাদের https://learn.svelte.dev/ সাইটটি থেকেই শিখেছি। পরবর্তীতে একটি ইউটিউব প্লেলিস্ট শেষ করেছি।

    বেশ মজার, বেশ সহজ। তবে আগামী আপডেটে Runes কি Ruins করে দেবে?

    আমি অবশ্য এখনো নেক্সট শিখিনি।

    গতকাল ৩০ জুন ও আজ ১ জুলাই আমার পূর্বের সাইটটিকে গ্যাটসবি থেকে সুভেল্টে নিয়ে আসলাম।

    ২ জুলাই ভিউ এর একটা ক্র্যাশ কোর্স ৩ ঘন্টার মধ্যে দুই ঘন্টা দেখেই বুঝে গিয়েছি যে ভিউ-ও আর এখন কোনো ব্যাপার না।

    আপডেটঃ ৩ জুলাই লোডিং যুক্ত করা সহ আরো অনেক কিছু। চাইলে আজকেই ওপেন সোর্স করে দেয়া যেত। আরো দুই একদিন যাক।